Inhouse product
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু (Sundarban Natural Honey)
মধুর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সুন্দরবনের নাম । প্রায়ই সবাই মধু বলতে চেনেন,জানেন ও কিনেন সুন্দরবনের মধু।মধুর উপকারিতা এবং স্বাদ সম্পর্কে অবগত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না । মধু মূলত একটি খাদ্য ও ঔষধি পণ্য।মানবদেহের আবশ্যকীয় ভিটামিনের মধ্যে শতকরা ৭৫ ভাগ মধুতে পাওয়া যায় ।আল্লাহ তা-আলা দুনিয়াতে জান্নাতি কিছু নিয়ামত দিয়েছেন--মধু তার মধ্যে অন্যতম নেয়ামত। মধুর উপকারিতা নিয়ে কুরআন মাজীদে আন-নাহল নামেএকটি সূরা আছে। মধু মিশিয়ে আয়ুর্বেদিক,হার্বাল ও অন্যান্য চিকিৎসায় বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ তৈরি হচ্ছে তেমনি সরাসরি মধু খেলে বিভিন্ন রোগ হতে মুক্তি মিলছে ।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু (Sundarban Natural Honey) কী?
আমরা জানি সুন্দরবন প্রাকৃতিক অভরায়ণ্যের বিশাল বনভুমি। হাজার হাজার পশু-পাখিদের প্রাকৃতিক আঁধার এই সুন্দরবন। মৌমাছি
সুন্দরবনের অরণ্যে বিচরণ করে। বাহারি রকমের জানা ও অজানা বিভিন্ন গাছের ফুল থেকে রেণু এবং পরাগ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত রেণু এবং পরাগ এক এক করে তাদের চাকে জমা রাখে এবং তাদের জীবনধারণের জন্য পরাগ বক্ষণ করে। অবশিষ্ট্য যে রস আমরা তাদের চাক থেকে সংগ্রহ করি তা-ই মধু। সুন্দরবন থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো চাষ ছাড়া এই মধু পাওয়া যায় বলে এই মধুকে বলা হয় সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুর বৈশিষ্ট্য :
১.সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু মিশ্র। মৌমাছিরা খলিশা,গরান ,কেওড়া ফুলের নেকটার ও পোলেন সংগ্রহ করে এই মধু তৈরি করে।
২.এর স্বাদ অতুলনীয় এবং দাম অপেক্ষাকৃত বেশি।
৩.সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই মধু কোনো পাত্রে রাখা হলে উপরের অংশে পোলেন বা গাদ জমে। অন্যান্য মধুতে এই বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় নয় ।
৪.এই মধুর রং লালচে পরিষ্কার ।
৫.ঘনত্ব তুলনামূলক কম।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু (Sundarban Natural Honey উপকারিতা :
১. সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুতে থাকা নানা উপাদানের নির্যাস শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২.রক্তচাপ দ্রুত বৃদ্ধি করে ।
৩.শরির সতেজ ও প্রানবন্ত রাখে।
৪.রক্ত পরিষ্কার করে ।
৫.হজম শক্তি বাড়ায়।
৬.গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নিরাময় করে।
৭.যৌন রোগের জন্য বিশেষ উপকারি।
৮.স্কিন পরিষ্কার রাখে।
৯.পেটের ডাইজেস্ট বৃদ্ধি করে।
আসল সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু চেনার উপায় :
অসচেতন লোক সহজেই সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু চিনতে ভুল করবেন। বাজারে যে হারে ভেজাল মধু বিক্রি হচ্ছে তাতে যদি আপনি ঐ মধুতেই আসক্ত থাকেন তাহলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু আপনার জন্য চিনতে কষ্ট হবে । শুধু মাত্র ল্যাব টেস্ট ব্যতীত আসল মধু সম্পূর্নভাবে চেনা সম্ভব নয় । কিন্তু কিছু বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনি এই মধু চিনতে পারেন ।এর কমন বৈশিষ্ট্য হলো এই মধু দেখতে অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার ও কম কালোটে এবং কোনো পাত্রে রাখা হলে পাত্রের উপরংশে পোলেন বা গাদ জমে। এছাড়াও আপনার কাছে যদি Ph মাপার মেশিন থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি আসল না ভেজাল মধু তা চিনতে পারবেন ।মধুর গড় pH মান ৩.৯ ৷
তবে এর মান ৩.৪ থেকে ৬.১ পর্যন্ত হতে পারে৷ যদি আপনার মধুতে pH মান এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে নিশ্চিত তাতে কোন ভেজালদ্রব্য মিশ্রিত আছে।মধু সবসময় পাতলা ও ফ্যানাযুক্ত হবে । পাত্রে আটকে রাখলে পাত্রের মধ্যে গ্যাস তৈরি হবে এবং ঝাঁকি দিলে অবশ্যই ফ্যানা উঠবে । সুন্দরবনের প্রাকৃতিক খাঁটি মধু জমে গেলে বর্ণ ঘি এর মতো ধারণ করবে । জিহবায় নিলে সাথে সাথে গলে যাবে এবং খেতে গ্লুকোজের মত লাগবে৷ ভেজাল নকল মধু জমে গেলে তাপের সংস্পর্শে আসলে পূনরায় তরল মাত্রার খুব একটা হবে না ।
রুপচর্চায় সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুর ব্যবহার :
১.ত্বককে কোমল ও লাবণ্য করতে এক চামচ মধু পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন । দেখবেন ত্বকে এক্সট্রা উজ্জ্বলতা দেখা দিচ্ছে।
২.ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে পরিষ্কার ত্বকে মধু আলতো করে ঘষুন ,তারপর অল্প পরিমাণে মধু ত্বকে ১০ মিনিট লাগিয়ে ত্বক ধৌত করুন।
৩.চুলকে কন্ডিশনিং এবং শ্যাম্পু করতে চুলে অল্প পরিমাণ মধু লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন ।
৪.এছাড়াও ত্বকের যেকোনো স্থানের কালো দাগ দূর করতে পরিমিত মধু স্থানটি পরিষ্কার করে লাগিয়ে রাখুন, আলতো করে ঘষতেও পারেন।
ডিইউ মার্টের ( Du Mart) সুন্দরবনের প্রাকৃতি মধ্যু কেনো খাবেন?
১. আমাদের মৌয়াল টিম সুন্দরবনের গহীন অরণ্য থেকে এই মধু সংগ্রহ করেন।
২.সুন্দরবনের প্রাকৃতি মধুকে আরও বেশি মিষ্টি করতে এতে গুঁড় বা অন্যকিছুর মিক্স নেই।
৩.সুন্দরবনের প্রাকৃতিক খাঁটি মধুর প্রক্রিয়াজাত ভেজালমুক্ত ও স্বাস্থসম্মত। আমাদের মধুতে পোলেন জমে।
৪.অর্ডার করার পর বা নেওয়ার পর সুন্দরবনের মধ্যু নিয়ে সন্দেহ থাকলে পাবেন ফুল রিফাউন্ড ।
৫.আমরা সবসময় নিজের শতভাগ গ্রাহকদের দেওয়ার চেষ্টা করি ।
৬.ছাত্র-ছাত্রী ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ছোট ও অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের প্যাকেটিং রয়েছে ।
৭.আমাদের লক্ষ্য --নিরাপদ,বিশুদ্ধ ও দেশীয় পন্যের সচেতনতা বৃদ্ধি করা ।