চ্যাপা শুঁটকি বাংলাদেশের একটি অন্যতম স্থানীয় খাদ্য। এটি আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন; চ্যাপা, চ্যাপা শুঁটকি, সিধল/ সিদঈল, হিদল, ব্যারমা ( উপজাতিক অঞ্চল)।তবে এটি ইংরেজি শব্দ Semi-fermented fish নামে বিশ্বে পরিচিত।
সাধারণত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রোদে শুকিয়ে শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। চ্যাপাশুঁটকি সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় বাংলাদেশের হাওরাঞ্চ্লে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ সনাতন পদ্ধতিতে মাছ প্রক্রিয়াকরণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এ পণ্য উৎপাদনের মূল কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় পুঁটি মাছ। চ্যাপা শুঁটকি আমিষের একটি সহজলভ্য উৎস এবং আমাদের দেশের অনেকেই এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত স্বাদ এবং গন্ধের জন্য একে খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। শীতকালে এটির ভর্তা, চাসনি এবং তরকারির স্বাদ অন্যরকম।
শুটকি খাওয়ার গুনাগুন
পর্যাপ্ত পরিমানে আমিষ, প্রোটিন ও খনিজ রয়েছে। যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য আবশ্যক।
তাজা মাছের থেকে বেশি আয়রন আছে। রক্তস্বল্পতা হ্রাস করে।
দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন-ডি রয়েছে। হাড় ও দাত ভালো থাকে।
দেহের জন্য আবশ্যক কোলেস্টেরল আছে যা ক্যান্সার দমন করতে পারে।
হর্মোন জনিত সমস্যা সামাধানের বিকল্প শুটকি।
এতে থাকা লবন আমাদের শারিরীক দূর্বলতা হ্রাস করে।
কেন ডিইউ মার্টের ( Du Mart ) চ্যাপা শুটকি সেরা ?
ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জের চ্যাপা।
মাছের আঁশমুক্ত ও ঘ্রাণ যুক্ত.
লবণ ছাড়া ও বড় সাইজ।
দেশি পুঁটি মাছের শুঁটকি।
বিশেষ গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য।
ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কেমিক্যাল মুক্ত।
পর্যাপ্ত প্রোটিন, আয়োডিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ।
খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
ভর্তা,ভাজি,চাসনি ও তরতারিতে খাওয়ার বিশেষ উপযোগি।