নিরাপদ খেজুরের গুড় ঝোলা (Safe Date molasses Jhola)
৳0
নিরাপদ খেজুরের গুড় (ঝোলা)
Categories
foodQTY
খেজুরের গুড় (ঝোলা )
আপনার কি মনে পড়ে সে শৈশবের স্মৃতিকথা। যখন আপনি কাচের বয়াম থেকে খেজুরের গুড় হাতের তালুতে নিয়ে তা পরম তৃপ্তিতে চেটে খেতেন। কিংবা শীতের সকালে চিতই পিঠা দিয়ে বা ভাপা পিঠা দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া সে অমৃত স্বাধের গুড়ের স্মৃতি কি আপনার মনে আছে এখনো? হ্যাঁ, একেই বলে ঝোলা গুড়। ঐতিহ্যগতভাবেই এ গুড় গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে অতি পরিচিত এক উপাদেয় খাবারের নাম। মায়েরা তা কাচের পাত্রে অথবা কোনো বয়ামে সংরক্ষন করে রাখতেন অনেকদিন ধরে। বাড়িতে কোনো মেহমান এলে তাকে মুড়ি অথবা পিঠার সঙ্গে দেওয়া হতো বাংলার শীতকালীন রসনা বিলাস খেজুরের ঝোলা গুড়। আমরা যেমন বয়ামে সংরক্ষিত লিকুয়েড গুড় দেখি তা প্রথমে এমন থাকে না। শীতের সময় খেজুর গাছ থেকে নির্গত হওয়া খেজুরের রসকে কয়েক ধাপে কড়াইয়ে জাল দেওয়ার মাধ্যমে প্র¯‘ত করা হয় ঝোলা গুড়। দেখতে অনেকটা মধুর মতো। কিš‘ এর স্বাধ গন্ধ একেবারে স্বতন্ত্র।
পুষ্টিগুণ
ঝোলা গুড় হাইড্রোজেন ও অন্যান্য রাসয়নিক মুক্ত হওয়ায় এতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। লিভারের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য,এবং ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে ঝোলা গুড় অত্যন্ত সহায়ক। ত্বকের উজ্জলতা ফেরাতে এ গুড় ভ‚মিকা রাখে। কেননা এখানে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল।
ব্যবহার
ঝোলা গুড়ের রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। খাবারের সাথে-এর ব্যবহার প্রসঙ্গে আমরা একে হরফন মৌলা তথা সকল কাজের কাজী বলতে পারি। আপনি এ ঝোলা গুড় হাতে নিয়ে চেটে খেতে পারেন, কিংবা চিতই পিঠা দিয়ে, মুড়ি দিয়ে, অথবা ভাত আর দুধের সাথে মিশ্রণ করেও খেতে পারেন। আপনি যেভাবেই খান না,খেজুরের এ ঝোলা গুড় আপনার কাছে অমৃত মনে হবেই।